মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের লক্ষ্মীপুর জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে বলে আহত অটোরিকশা চালক পলাশের মা লায়লা আক্তার অভিযোগ করেন।
“চাঁদা না পেয়ে পুলিশ পিটিয়ে আমার ছেলের পা ভেঙে দিয়েছে।”
আহত পলাশকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, পলাশের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান পা ভেঙে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে অটোরিকশা চালকরা গাছের গুঁড়ি ফেলে ওই সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে অটোরিকশা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে এসে সড়ক অবরোধ করে। এর আগেই ওই ট্রাফিক পুলিশ পালিয়ে যান বলে জানান তারা।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা লিখিতভাবে দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ অর্ক বলেন, “প্রতিদিন একটি করে অবৈধভাবে চালিত অটোরিকশা ধরে নিয়ে মামলা দেওয়া হয়। ওই অটোরিকশাটি ধরার পর সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে ধরতে গেলে পড়ে গিয়ে আহত হয়।”
চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ৫০০ টাকার মামলা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে অন্য অটোরিকশা চালকরা অভিযোগ করেন, ট্রাফিক পুলিশ ধরলেই ৩০০/৫০০ টাকা দিতে হয়। আর না দিলে মামলা অথবা তাদের হেনস্থা করা হয়।