রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় ও একই বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্রে সোমবার রাতে জোর করে ভোট দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
বালক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শাহিন কবির আর মহিলা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন সুব্রত কুমার পাল।
নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, “দুই প্রিজাইডিং অফিসার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, সোমবার গভীর রাতে তাদের কেন্দ্রে সশস্ত্র কিছু লোক ঢুকে পুলিশসহ সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।
“তারা ব্যালট পেপারে প্রিজাইডিং অফিসারদের স্বাক্ষর নিয়ে সিল দিয়ে ১৪০০ ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে যায়।”
অভিযোগ পাওয়ার পর দুই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয় জানিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, বাকি ১৩ কেন্দ্রে ভোট চলছে স্বাভাবিকভাবে।
বেলা দেড়টা পর্যন্ত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে মোট চারজন মেয়র পদে, নয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৫৮ ও তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, এখানে মোট ভোটার ৩০ হাজার ৯৬৫ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫টি। প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২০ জন পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়া ভোটারদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে পাড়া-মহল্লায় পুলিশ ও বিজিবির টহলদল মোতায়েন করা হয়েছে।