কনস্টেবল হালিমার ‘ডায়েরিতে’ অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধেও

ময়মনসিংহে এসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জিডি করতে চাইলেও থানার ওসি তা গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেছেন কনস্টেবল হালিমা খাতুনের বাবা।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2017, 08:31 AM
Updated : 25 April 2017, 09:06 AM

জেলার গৌরীপুর থানার কনস্টেবল ২৫ বছর বয়সী হালিমা গত ২ এপ্রিল গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন আকন্দের দায়ের করা মামলায় এসআই মো. মিজানুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন।

হেলাল উদ্দিন বলছেন, হালিমা এসআই মিজানুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিলেও ওসি দেলোয়ার হোসেন কোনো ব্যবস্থা নেননি। হালিমা নিজেই আত্মহত্যার আগে সে কথা ডায়েরিতে লিখে রেখে গেছেন বলে বাবার ভাষ্য।

সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গ্রহণ না করা জিডির কপি এবং ‘হালিমার ডায়েরির’ দুটি পৃষ্ঠা তিনি সাংবাদিকদের দেখান।

হেলাল বলেন, “ওসি যদি হালিমার জিডি গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন তাহলে হালিমা আত্মহত্যার পথ বেছে নিত না।”

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “গত ১৭ মার্চ রাত আনুমানিক ২টায় এসআই মিজানুল হালিমাকে ধর্ষণ করেন। এসআই রিপন, এসআই খালেকুজ্জামান, এসআই হাসান এবং তার সঙ্গীরা ঘটনা শুনে হালিমাকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করেন। বিষয়টি হালিমা ওসিকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।”

এ বিষয়ে ওসি দোলোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হালিমার মৃত্যুর আগে এসআই মিজানুল আমাকে জানিয়েছিলেন যে হালিমা তাকে বকাবকি করেন। হালিমাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন। আর এখন যেহেতু মামলা হয়েছে, তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমারত হোসেন গাজি বলেন, “মেডিকেল রিপোর্টের জন্য আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।”

গত ২ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে গৌরীপুর থানার ব্যারাকে নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে গায়ে কোরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন কনস্টেবল হালিমা খাতুন। সহকর্মীরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়। সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

পরদিন আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার বাবা হেলাল উদ্দিন। এসআই মিজানুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।