রিটার্নিং কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শাস্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়।
কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
বিয়ানীবাজার ইউনিয়ন ও মোল্লারপুর ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে ২০০১ সালে বিয়ানীবাজার পৌরসভা গঠিত হয়।
সে সময় প্রশাসক নিয়োগ করা হয় বিয়ানীবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তফজ্জুল হোসেনকে। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মামলা জটে ভোট আটকে থাকে ১৬ বছর।
পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
সুপাতলার বাসিন্দা মাসুম আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “এটা অবশ্যই আনন্দের যে, পৌরসভার ভোট হচ্ছে। যে-ই নির্বাচিত হোন না কেন, পৌরসভার উন্নয়ন করবেন এমনটাই আশা করি।”
নিদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আসমা বেগমও একই কথা বলেন।
“প্রায় ১৬ বছর অপেক্ষার পর পৌরসভার ভোট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোট দিতে এসেছি। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে।”
আর কাউন্সিলর পদের জন্য লড়ছেন ৭৪ জন, জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন।
তিনি বলেন, পৌরসভার মোট ভোটার ২৫ হাজার ২৪ জন। ১২ হাজার ৪৩৭ পুরুষ আর ১২ হাজার ৫৯৪ নারী।
নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ ও আনসার। আর র্যাব ও বিজিবির টহল তো আছেই।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, ১০টি ভোট কেন্দ্রের ৭৫টি ভোট কক্ষের সব কটিকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।