গত তিনদিনের বৃষ্টিতে সদরের গোটাপাড়া, কান্দাপাড়া, বেশরগাঁতি, চরগ্রাম, বেমরতা, ফতেপুর, ডেমা, চুলকাঠি, শ্রীঘাট, সিএন্ডবি বাজার, ষাটগম্বুজসহ বিভিন্ন উপজেলার পাকা বোরো ধানের মাঠ তলিয়ে যায়।
কৃষক শেখ আসাদুজ্জামান রিপন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবছর দশ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলনও ভাল হয়।
“গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক নিয়ে পেকে যাওয়া ধান মাঠ থেকে কাটা শুরু করি। হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মাঠে কেটে রাখা ধান ঘরে তুলে আনতে পারিনি।”
ওই কেটে রাখা ধান মাঠে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কৃষক সাধন পাল ও নিরাপদ পাল এই বলেন, এবছর বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। বৈশাখ মাস থেকে পেকে যাওয়া ধান কাটতে শুরু করেন তারা। গত তিনদিন আগে হাঠাৎ করে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হলে ধান কাটা ব্যাহত হয়।
ধানের মাঠ বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ধান ঝরে পড়ছে। এই ধান আর ঘরে তোলার আশা করছেন না তারা।
বাগেরহাট কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আবতাব উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অতি বৃষ্টিতে বাগেরহাটের মাঠে কাটার অপেক্ষায় থাকা পাকা বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ধানের মাঠ তলিয়ে রয়েছে। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ার কারণে কৃষক পাকা ধান মাঠ থেকে কেটে ঘরে তুলতে না পারায় তা মাঠেই ঝরে পড়ে আছে।
জেলার কত হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়েছে তার তালিকা তৈরি করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলে জানান তিনি।