সোমবার দুপুরে মেঘনা উপকূলীয় স্থানীয় চরগাজী ও বড়খেরী ইউনিয়নের উপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
রামগতি উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমান উল্ল্যা জানান, রামগতি উপজলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ২০০ থেকে ২৫০টি কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য তদারকি চলছে। তাদের সরকারি সহায়তা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এছাড়া পাঁচ শতাধিক গাছপালাও উপড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, দুপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এতে রামগতি বি বি কে পাইলট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও রামগতি আছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও দুটি মসজিদসহ চরলক্ষ্মী গ্রামে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
একই সময়ে পাশের বড়খেরী ইউনিয়নের নৌপুলিশ ফাঁড়িসহ রঘুনাথপুর গ্রাম ও বড়খেরী গ্রামেরও শতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
এসময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে অন্তত পক্ষে ১০ জন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
সরেজমিন চর গাজী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে পড়ে আছে। কেউ পুনরায় ঘর নির্মাণের কাজ করছেন। আবার অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে আছেন।