ওই ব্যবাসায়ীর বড়ভাই হাবিবুর রহমান সেন্টু জানান, রোববার রাতে কুষ্টিয়ার মিলপাড়া রেলগেইট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধার ইমরান হোসেন (৩০) উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর-জালালপুর এলাকার মৃত গোলাম আলীর ছেলে। বাগমারা বাজারে ইঁট, বালু, রড ও সিমেন্টের ব্যবসা করেন তিনি।
ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার বিকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাগমারা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বড় ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারে বের হন। বাগমারা ইছামতি সেতু থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস তার সামনে এসে থামে।
“পরে দুইজন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নিমে ডিবি পরিচয় দিয়ে তার চোখ মুখ বেঁধে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি একটি রেল লাইনের পাশে পড়ে আছি।”
তিনি বলেন, “পাশের একটি ফার্মের্সিতে গিয়ে সব জানালে তিনি আমাকে বলেন, আপনি এখন কুষ্টিয়ায়। পরে তিনি আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে সব জানালে তারা গিয়ে আমাকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করেন।”
তার কাছে ব্যবসায়ের প্রায় এক লাখ টাকা ছিল। সে টাকাও ডিবি পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিরা নিয়ে গেছে বলে ইমরান দাবি করেন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার এসআই মো. মহিরউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”