পাঁচবিবি থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে এ ঘটনায় সুইট হোসেনকে (২৫) পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
সুইট ওই এলাকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
মেয়েটিকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে একই এলাকার স্থানীয় একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বলে ওসি জানান।
মেয়েটির পরিবারের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি আশরাফুল বলেন, রোববার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শহরের বিশ্বাসপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে যায় সুইট।
“সেখানে পানির সঙ্গে চেতনানাশক পান করিয়ে ‘অচেতন করে’ সুইট মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।”
পরে দিনাজপুরের হিলিগামী একটি বাসে মেয়েটিকে তুলে দিয়ে সুইট পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, হিলি বাসস্ট্যান্ডে নামার পর মেয়েটির শারীরিক অবস্থা দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পাঁচবিবি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
তাকে প্রথমে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসেকদের পরামর্শে তাকে জয়পুরহাটে স্থানান্তর করা হয়।
পরে মেয়েটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুইটের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে বলে জানান তিনি।
জয়পুরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “মেয়েটিকে পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক বা বেশি মাত্রার ঘুমের ট্যাবলেট পান করিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।”