একইসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল মিয়াকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে একথা বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। সেই সাথে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল মিয়াকে সংগঠন থেকে কেন স্থায়ীভাবো বহিষ্কার করা হবে না আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।
সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের কোনো কারণ উল্লেখ না থাকলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট ঘটনার জেরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ভূঁইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন।
ওইদিন বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন রোববার বিজয়নগরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়।
এর জেরে শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধর ও তার কার্যালয় ভাঙচুর করে একদল লোক। হামলাকারীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নামফলকও ভেঙে দেয়।
এরপর শনিবার মধ্য রাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
এর মধ্যেই রোববার মন্ত্রী প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ভবন উদ্বোধন করেন। তবে সুধী সমাবেশ হয়নি। হরতাল চলাকালে ইটের আঘাতে নবীনগর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ আহত হয়েছেন।
তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, “ছাত্রলীগের মূল নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে বাধা দেয়নি। অতি উৎসাহী কিছু ছেলে এ কাজ করেছে।”