ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রবল বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় মহারশি নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে গেছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2017, 06:05 PM
Updated : 22 April 2017, 06:05 PM

এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় চেল্লাখালী নদীর রাবার ড্যাম এলাকায় পুরনো ৪০ ফুট বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে প্রবলবেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বাঘবের, কলসপাড়, যোগানিয়া ও রাজনগর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

ঝিনাইগাতী উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, দীঘিরপাড় ও জিগাতলা এ তিন এলাকায় ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় চারটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

নালিতাবাড়ীর প্লাবিত এলাকার বোরো ধান ও গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।  

এদিকে চেল্লাখালী বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবিতে শনিবার সকালে শেরপুর-নালিতাবাড়ীর সড়ক অবোরোধ করে ওই এলাকার কয়েকশ কৃষক। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয় কৃষকরা।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফ ইকবাল পাহাড়ি ঢলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাহাড়ি ঢলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনে মাঠে কাজ চলছে।

ঝিনাইগাতীতে কান্দুলী, কোচনীপাড়া, বাগেরভিটা, দাড়িয়ারপাড়, কালিনগর, বালিয়াগাঁও, জরাকুড়া, পাইকুড়া, সুরিহাড়া, মাটিয়াপাড়া, পাগলারমুখ, বনগাঁও চতল গ্রামের বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

সুরিহাড়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী, সাদ্দাম মন্ডল ও হাসেম আলী জানান, তাদের পাকা বোরো ধান পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর তিন স্থানে ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এতে নিম্নাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কমপক্ষে চার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধানের ক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজেডএম শরীফ হোসেন বলেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ধানশাইল, ঝিনাইগাতী সদর, হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।