শরীয়তপুরে দুদলের সংঘর্ষ, ‘১১ জন’ গুলিবিদ্ধ

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুদলের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হাতবোমা বিস্ফোরণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2017, 05:35 PM
Updated : 22 April 2017, 05:35 PM

শনিবার শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলার শৌলপাড়া, জয়নগর ও মুলনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গঙ্গানগর বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।  

আহতদের মধ্যে দীপু কাজী নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ১১ জন গুলিবিদ্ধ বলে স্থানীয়দের দাবি।

স্থানীয় সুরুজ মোল্যা ও পুলিশ জানায়, জাজিরার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম মিন্টু কাজী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক জাজিরার বোয়ালিয়া গ্রামের মিথুন ঢালীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল।

সুরুজ বলেন, এছাড়া মিন্টুর কাজীর সর্মথক শৌলপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সুরুজ মোল্যা ও মিথুন ঢালীর সমর্থক একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর মোল্যার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

“এর জেরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় গঙ্গানগর বাজারে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মিন্টু কাজীর সমর্থক দিপু কাজী, শাহনাজ কাজী, সোহাগ মুন্সি, খালেক সিকদার, সজিব মিয়া, সৈকত মুন্সি, সোরহাব কাজী, মন্নান কাজী, বাবুল মুন্সি, সায়েদ কাজী, শহীদুল ইসলাম মাদবর গুলিবিদ্ধ হন।”

সংঘর্ষ চলাকালে বাজারের অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয় বলে জানান তিনি।

গুলিবিদ্ধ মন্নান কাজী বলেন, “মিথুন ঢালী ও তার ভাই সুজন ঢালীসহ অপরিচিত কয়েকজন মিলে আমাদের উপর গুলি চালিয়েছে। এতে আমাদের ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়।”

জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মিন্টু কাজীর বড় ভাই বাবলু কাজী বলেন, “কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মিথুন ঢালী তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালান। এ সময় মিথুন ঢালী প্রকাশ্যে শটগান দিয়ে আমাদের লোকজনের উপর গুলি চালান। এতে আমাদের ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন।”

অভিযোগ অস্বীকার করে মিথুন ঢালী বলেন, “মিন্টু কাজী ও তার সমর্থকরা আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট ও ষড়যন্তমূলক মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।”

জাজিরা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এখনও মামলা হয়নি।”