শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই উৎসবে শিল্পী কফিল আহমেদের গানের সংকলন‘পাখির ডানায় দারুণ শক্তি, গরুর চোখে মায়া’ কে সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠক রফিউর রাব্বী।
‘চেতনা জাগাও সর্বপ্রাণে, বাঁচাও সুন্দরবন’- এই স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পী কফিল আহমেদ ও সহশিল্পীরা এবং ঘোড়াউত্রা অডিও ভিশনের পক্ষে দেব্রবত দাস বিপ্লব স্মমাননাপত্র নেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে রফিউর রাব্বি বলেন, “আমরা চাই সুন্দরবন বাঁচুক, সেখান থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রত্যাহার করা হোক।”
নিজের জেলার প্রসঙ্গে নাগরিক আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আমরা আমাদের দেহের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আমাদের এই নারায়ণগঞ্জকে পশুদের অভয়ারণ্য হতে দেব না। আমরা পশুদের হাত থেকে, গডফাদারদের হাত থেকে অবশ্যই আমাদের নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করব।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “এ সমাজকে ব্যবস্থাকে না বদল করতে পারলে, আমাদের মুক্তি নেই। যে উন্নতি হবে সে হচ্ছে দুর্নীতির উন্নতি, সে উন্নতি হচ্ছে নদী শুকিয়ে ফেলা, নদী দখল করার উন্নতি, সুন্দরবনকে ধ্বংস করার উন্নতি।”
রূপপুরে যে পারমাণবিক চুল্লী বসানো হবে, তা নিয়েও শঙ্কার কথা জানান এই অধ্যাপক।
“আমাদের লোকেরা সার কারখানা চালাতে পারে না, তারা এমন একটা জিনিস তৈরি করবে, যেটা তারা চালাবে! জাপানের মতো দেশে পারমাণবিক চুল্লীতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।”
পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সমাজকে বিভক্ত করা হচ্ছে।
সমগীত নারায়ণগঞ্জের সভাপতি বিশ্বজিত দাস সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল আকাশ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবাণী শংকর রায়, কবি আরিফ বুলবুল বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কফিল আহমেদ ও সমগীত ছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন গানপোকা, মাদল, মনোসরণি, নগরনাট (সিলেট), শহুরে গায়েন; নৃত্যে ছিল তাথৈয়া।