সরকারি নির্দেশনায় বছরে দুটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মডেল টেস্টের নামে নেওয়া হচ্ছে আরও একটি পরীক্ষা।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শওকত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তমোতাবেক ‘মডেল টেস্ট’ নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি নির্দেশনার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শ্রেণিভেদে ১৬৫ থেকে ২০৫ টাকা হারে আদায় করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৮১ জন, সপ্তম শ্রেণিতে ১৩৬, অষ্টম শ্রেণিতে ১৭৮ ও নবম শ্রেণিতে ২৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে শার্শার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে গত বছর একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
“ওই পরিপত্রে মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে বছরে দুটি পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। একটি অর্ধবার্ষিক, অপরটি বার্ষিক। আর কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।”
কথিত মডেল টেস্ট নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
“বিদ্যালয়টির শিক্ষকদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিষিদ্ধ এ কাজের দায়ভার তাদেরই নিতে হবে।”