বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক।
গত বছরের ১৪ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের একটি হাওর থেকে উপজেলার পুটামারা এলাকার আব্দুস সালাম (৪৫) ও তার মেয়ে রুলি বেগমের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, এ মামলার রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করে পিবিআই। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ জানতে পারে মামলার বাদী রুশনা বেগমের সঙ্গে তার স্বামীর বন্ধু একই এলাকার মখন মিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।
“মেয়ে রুলি তাদের শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রুশনা। পরে ২০১৬ সালের ৮ অগাস্ট সালাম ও মেয়ে রুলি নৌকায় করে বাজার থেকে ফেরার পথে মখন ও তার সহযোগীরা তাদের হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।”
এ ঘটনায় ১৫ অগাস্ট স্বামী ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগে ভাসুর আব্দুন নুর ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন রুশনা বেগম।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রুশনার ফোন কললিস্ট যাচাই করে দেখে তার প্রেমিক মখন মিয়া এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। পরে গত ১০ এপ্রিল কোম্পানীগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে রুশনা ও মখনকে আটক করে পিবিআই।
রুশনা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। শিগগিরই এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক।