বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নির্ধারিত প্রবেশমূল্যের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2017, 12:23 PM
Updated : 20 April 2017, 01:11 PM

শ্রীপুর উপজেলার ইন্দ্রপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত এ সাফারি পার্কের যেখানে উন্মুক্ত রিবেশে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণ, জিরাফসহ নানা প্রাণী দেখার ব্যবস্থা রয়েছে সেটাকে ‘কোর সাফারি পার্ক’ বলা হয়। এখানে প্রবেশ করতে হলে পূর্ণ বয়স্কদের ১০০ টাকা এবং ছাত্র ও কম বয়সীদের ৫০ টাকার টিকেট কিনতে হয়।

কিন্তু শর্ত না মেনে শিশু ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন জানান, পার্কের নির্ধারিত বাসে চড়ে ‘কোর সাফারি পার্ক’ অংশে ঢুকে ভেতরে প্রাণীগুলো দেখতে হয়। এর জন্য প্রবেশ মূল্য বড়দের জন্য ১০০ টাকা এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী কিংবা শিশুদের জন্য ৫০ টাকা করে প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা রয়েছে।

“এ অংশটি নির্ধারিত শর্তানুসারে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জন্য পাল এন্টারপ্রাইজ, বেঙ্গল ট্যুরস লিমিটেড ও বিজ এন্টারপ্রাইজের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে।”

শাহাবুদ্দিন বলেন, কিন্তু সাফারি পার্কের এ অংশের ঠিকাদারদের লোকজন চুক্তি না মেনে সকলের কাছ থেকেই প্রবেশ মূল্য বাবদ ১০০ টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পর্যটকদের কাছ থেকে।

“ইজারার শর্ত না মানা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

বগুড়ারার কুতুবপুর হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি তার সাত ও নয় বছরের দুই মেয়েসহ চারজনকে নিয়ে বুধবার সাফারি পার্কে বেড়াতে যান। কোর সাফারি পার্কে ঢুকতে গেলে সবার কাছ থেকেই ১০০ টাকা করে প্রবেশ মূল্য নেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য টাকা কম নেওয়া হয়নি।

একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানিয়া।

তিনি বলেন, “এপ্রিলের শুরুতে কলেজ ড্রেস পড়ে আমরা কয়েকজন সহপাঠী কোর সাফারি পার্কে ঢুকতে গেলে আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।”

পার্কের প্রকল্প পরিচালক সামসুল আজম বলেন, ইজারায় ১৮ বছরের উপর অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্কদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা এবং এর নীচের বয়সীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নেওয়ার চুক্তি রয়েছে।

“তারপরও কেন তারা চুক্তি ভঙ্গ করছেন তা তদন্ত করে দেখা হবে। সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর গেটে তাদের প্রবেশ মূল্যের এ তালিকা টানিয়ে রাখতে বলা হবে।ব”

পার্কে কর্মরত পাল এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মো. হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি ঠিকাদারদের নির্দেশনা মতো নির্ধারিত মূল্যই নেন। তবে তিনি না থাকলে অন্য কেউ দায়িত্ব পালনের সময় বেশি নেয় কি না তার জানা নেই।