পিরোজপুরে ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2017, 01:06 PM
Updated : 19 April 2017, 01:42 PM

বুধবার ইন্দুরকানী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দেলোয়ার ফরাজী বাদী হয়ে পিরোজপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আব্দুল মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খার বিরুদ্ধে হত্যা, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা ও নারী ধর্ষণসহ ১৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ২২ জনকে সাক্ষী করা হয়।

মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩ মে শুনানির দিন রেখেছেন বলে জানান মামলায় বাদীর আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু।  

ওয়াহিদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার আসামি আ. মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ হত্যা, ঘর-বাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা ও নারীদের ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়ান।

তিনি রামচন্দ্রপুর গ্রামের নিতাই হালদারের বাড়ি, কালিপদর বাড়ি, কবিরাজ বাড়ি, গৌরঙ্গ মিস্ত্রী ও শুনীল ঠাকুরের বাড়িসহ অনেক সংখ্যালঘুর বাড়িঘরে লুটপাট চালান ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, একই গ্রামের মন্ডল বাড়ির দুই মেয়েকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেন, যাদের অনেকদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে পাক সেনারা।

এছাড়া পাক বাহিনীর সহায়তায় গাবগাছিয়া গ্রামের মোতাহার মীরের ছেলে ওয়াজেদ মীর ও চারাখালী গ্রামের ধনাঞ্জয় হালদারের ছেলে গণেশ হালদারকে হত্যা করেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ হাসান বাবু আরও বলেন, ‘পিরোজপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ নামে যে বই প্রকাশ করা হয়েছে সেই বইয়ের ৩৩৭ নম্বর পৃষ্ঠায় ২২ নম্বর ক্রমিকে ‘কুখ্যাত রাজাকার’ হিসেবে আসামির নাম আছে, যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।