উপজেলার প্রায় দুর্গম তৈ-মথাং গ্রামে সোমবার সকালে হঠাৎ এ সমস্যা দেখা দেওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩০ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে চিকিৎসক নয়নময় ত্রিপুরা জানান।
তিনি বলেন, “লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে এটা মাস হিস্টিরিয়া। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েক দিনের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
হাসপাতালে ভর্তি একজনের আত্মীয় গিরিবালা ত্রিপুরা জানান, ঘটনার তিন দিন আগে এক পাহাড়ি বৈদ্য গ্রামবাসীর কাছে জনপ্রতি ১০০ করে টাকা চায়।
ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের খাগড়াছড়ির সভাপতি যদুনাথ ত্রিপুরা জানান, দুর্গম ওই এলাকার মানুষের মধ্যে নানা ধরনের কুসংস্কার রয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা দয়াকুমার ত্রিপুরা জানান, যাদের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করছেন। মানুষ দেখলে পালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। এক পর্যায়ে অনেকে সংজ্ঞাও হারাচ্ছেন।
জেলার সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম জানান, ওই এলাকায় তারা মেডিকেল টিম পাঠিয়েছেন। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।