রোববার রাতে কোচ ওই নারী ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন বলে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রিফাত খান রাজীব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর দুখিরাম চন্দ্র নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রতিবেশী এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে বুধবার রাতে ওই দম্পতির মাথা ন্যাড়া করে দেন গোত্রপ্রধানরা।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেকান্দর আলী বলেন, হাতিলেইট গ্রামের বিলপাড়ায় কোচ ওই দম্পতির সঙ্গে পাশের বাক্কুর চালা গ্রামের ইবির আলীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এ কারণে উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে যাতায়াত ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
“ওই কোচ নারী বুধবার দুপুরে ইবির আলীর বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় তাদের গোত্রের অনেকে ওই বাড়িতে যেতে নিষেধ করে। কথা না শুনলে তাকে শায়েস্তা করার হুমকি দেওয়া হয়।”
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সন্ধ্যার পর বিচারের সিদ্ধান্ত নেন গোত্রপ্রধানরা। বিচারে ওই নারীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনা হয়। তার স্বামীও এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান
“এর পরও দুজনকে সেখানে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবারটিকে একঘরে ঘোষণা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা গোত্রের সবাইকে দাওয়াত করে খাওয়াতে বলা হয়।”
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন, “পাশের বাড়ির মুসলমান যুবকের সঙ্গে আমাদের উঠাবসা ছিল। ওরা ভালো মানুষ। কিন্তু সমাজের কেউ কেউ এটা ভালো চোখে দেখত না। আমার স্ত্রী যেন মুসলমান বাড়িতে না যায় এ জন্য হুমকি দিত।”
“গোত্র প্রধানরা বলেছেন, আমাদের শুদ্ধ হতে হবে। এ কারণে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন। মারধর ও আমার স্ত্রীর ওপর মিথ্যা কলঙ্ক দেওয়া হলো।”
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী বলেন, “ঢাকায় আছি। কিন্তু ঘটনা শোনার পরপরই দুজন ইউপি মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।”