রোববার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান সাংবাদিকরা।
সদর থানার এএসআই মুজিবুল হক বলেন, “২০১৪ সালে নারী নির্যাতনে অভিযোগে দায়ের একটি মামলার আসামি ছিলেন সাংবাদিক তুষার তুহিন। ওই মামলায় আদালতের পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
জেলার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আয়াছুর রহমান বলেন, “২০১৪ সালে কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাংবাদিক তুষার তুহিন আসামি ছিলেন। পরে বাদী পক্ষ বিষয়টি নিয়ে আপোষনামা দিলে আদালত অভিযোগ থেকে তাকে খালাস প্রদান করে।”
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, একটি মামলায় অভিযোগ থেকে সাংবাদিক তুষার তুহিনকে তিন বছর আগে আদালত খালাস প্রদান করেন। রোববার সকালে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ ওই মামলায় তাকে ‘বিনা পরোয়ানায়’ গ্রেপ্তার করে।
এ সময় সাংবাদিক পরিচয় ও মামলায় খালাসপ্রাপ্তির কাগজপত্র থাকার কথা জানানোর পরও পুলিশ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন তিনি।
ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিক তুষার তুহিনকে হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সুষ্ঠু বিচার করা না হলে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সারাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন করবে।
সভায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আয়াছুর রহমানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন।