রোববার সকালে তরমদ্দিন ঘাটের পাশে নদীর তীরে বাহার উদ্দিন সর্দারের (৪২) গলাকাটা ও নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিগত কয়েকটি সহিংসতার ঘটনায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এর আগে এই ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন।
হাতিয়া থানার ওসি আবদুল মজিদ জানান, নিহত বাহার উদ্দিন সর্দার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে।
হাতিয়ার আফাজিয়া বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের জন্য স্থানীয় এক ডিলারের গুদাম ঘেরাওকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ এ সংঘাতের শুরু। এর জেরে দুপক্ষের সংঘাতে এর আগে দুজন নিহত হয়েছেন।
রোববার লাশ পাওয়া বাহার উদ্দিন সর্দারেরও এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৩০ মার্চ হাতিয়ার আফাজিয়া বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের জন্য স্থানীয়রা ডিলার আবুল কালামের গুদাম ঘেরাও করে। এর জেরে সন্ধ্যায় হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ‘রবীন্দ্র কুমার দাস নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী’ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হন যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন (৪৫)ও এক দোকানদার।
আশরাফের মৃত্যুর জের ধরে বৃহস্পতিবার উপজেলার চর কিং ইউনিয়নের ভৈরব বাজার এলাকায় একদল যুবক বাজারের লোকজনকে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে।
এক পর্যায়ে তারা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের বাড়িতে এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান নুরুল আলম (৩০)। নুরুল আলম চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নূর হোসেনের ছেলে।
তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মদ।