নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি দুজনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
ওই তিনজন হলেন- কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের সোহেলের স্ত্রী শারমিন আক্তার ঊর্মি, তার দেড় বছরের মেয়ে পল্লবী এবং ঊর্মির ভগ্নিপতি ময়মনসিংহের তারাকান্দি উপজেলার কালনিকান্দা গ্রামের আবু কাওছার।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের শিলন্দা এলাকায় সিরাজগঞ্জ থেকে নলকাগামী একটি অটোরিক্সাকে অপর একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। অটোরিকশা আরোহীদের মধ্যে সোহেলের মেয়ে পল্লবী এবং তার ভায়রা কাওছার ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক আরোহী অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মারা যান সোহেলের স্ত্রী ঊর্মি।
সোহেলের চাচা ফরিদুল ইসলাম জানান, পেশায় গার্মেন্টকর্মী কাওছার তার ভায়রা সোহেলের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সোহেলের মেয়ে পল্লবীকে ডাক্তার দেখাতে তারা তিনজন সন্ধ্যায় শহরের একটি ক্লিনিকে যায়। সেখানে থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের বালুকোল এলাকায় একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ে।
নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান।