শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠানের অনুসারীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মো. শরীফ।
হামলায় আহতের মধ্যে আনিছুর রহমান (৪৭) নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বাকি চার রেস্তোরাঁ কর্মচারীর নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
রেস্তোরাঁ ম্যানেজার শরীফ বলছেন, যুবলীগের ওই নেতা তার স্ত্রীকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় কফি পান করেন। কফির বিল হিসেবে ৫০০ টাকার নোট দেওয়ার পর ভাংতি দিতে মিনিট পাঁচেক দেরি হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন।
হামলাকারীরা রেস্তোরাঁর বেশ কয়েকটি ফ্রিজ, চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা ভাংচুরের পাশাপাশি ক্যাশ বাক্সে থাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ তার।
স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার পর ২০টি মোটরসাইকেল চেপে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন এসে এলোপাতাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। এসময় তাদের ছুরিকাঘাতে আনিছুর আহত হন।
ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে মহানগর যুবলীগ নেতা রাসেল পাঠান বলেন, “আমি আমার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গিয়ে অপমানিত হয়েছি; এজন্যই এমনটি হয়েছে।”
ঘটনা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ময়মনসিংহ নগরীর ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফারুক হোসেন।