পলিটিক্সের পরগাছা তাড়াতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রাজনীতিতে ঢুকে পড়া পরগাছা তাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 12:17 PM
Updated : 13 April 2017, 12:18 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারে এ অনুষ্ঠানে একথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা দলের কর্মী-সমর্থক-নেতাদের আচরণে প্রায়ই বিরক্তি প্রকাশ করে তাদেরকে দেশের মানুষের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন কিছু কিছু ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে ওঠে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য থাকে চাঁদা তোলা। আর চাঁদা তোলার জন্যই একেকটি তারা রাজনৈতিক নাম ব্যবহার করে বলে তিনি মনে করেন।  

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আছে, প্রচার সেল আছে তারপরও প্রচার লীগ নামে একটি সংগঠন দাঁড় করিয়ে ফেলেছে। তরুণ লীগ, প্রজন্ম লীগ আরও কত রকমের লীগ।

“আবার ওইসব লীগের বিলবোর্ডে দেওয়া ওমুক হচ্ছে প্রস্তাবিত কমিটির প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক। এরকম বিলবোর্ডও রাস্তায় চোখে পড়ে।

“একটি বিলবোর্ডে আমি ৬১টি ছবি দেখেছি, আমি গুণেছি। চিনি না জানি না বিলবোর্ডের চেহারা যা, নেত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন, এই সুযোগটাই নিচ্ছে।”

মন্ত্রী বলেন, দলে কর্মী নেই, সবাই এখন নেতা। সিকি নেতা, ধুতি নেতা, পাতি নেতা, আতি নেতা আরও কত নেতা।

বিলবোর্ডের একটি ছবির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই নেতাকে বাইরে চিনি না, অথচ বিলবোর্ডে ছবি। আবার বাইরে দেখি এক চেহারা বিলবোর্ডে আরেক চেহারা। এই নায়ককে তো চিনলাম না। ওনি ওখানে (বিলবোর্ডে) নায়ক হয়ে গেছেন, এমন এক চেহারা বানাইছে।”

“পলিটিক্সে এখন পরগাছা ঢুকে গেছে, এগুলোকে তাড়াতে হবে।”

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের সন্ধানী ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত ৩৬তম সন্ধানীর কেন্দ্রীয় বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে পায়রা উড়িয়ে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উদ্বোধনের পর সন্ধানীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা নিজ সংগঠনের সঙ্গীতের সঙ্গে স্ব স্ব ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে পিএইচএ ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে আসা সন্ধানীর সদস্যরা এতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লায়লা পারভীন বানু, রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদা আদিব খানম ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক মনজুর কাদির আহমেদ বক্তব্য রাখেন।