হাতিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ কর্মী নিহত

নোয়াখালীর হাতিয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে তিনজন।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 10:37 AM
Updated : 13 April 2017, 03:41 PM

বৃহস্পতিবার উপজেলার চর কিং ইউনিয়নের ভৈরব বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে হাতিয়া থানার ওসি আবদুল মজিদ জানান।

নিহত নুরুল আলম (৩০) চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নূর হোসেনের ছেলে।

তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মদ।

এ ঘটনায় আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন- আবদুল কাদের (৪৫), আমির হোসেন (৪৮), বেলায়েত হোসেন (৪৫) ও মো. কামাল (৩৮)।

মহিউদ্দিন আহম্মদ বলেন, গত ৩০ মার্চ আফাজিয়া বাজারে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর লোকজনের গুলিতে তার (মহিউদ্দিন) ছোট ভাই যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন আহত হন। গত ৯ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় আশ্রাফ মারা যান।

এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরে মোহাম্মদ আলী ও ওয়ালিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরব বাজারে আশ্রাফ হত্যা মামলার আসামিদেকে ধরতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ।

“এ সময় বাজারের লোকজন পুলিশকে সহযোগিতা করায় তারা ফিরে যাওয়ার পরপরই মামলার আসামি আবু তাহের, আবদুল ওহাব, মুরাদ ও ফারুকের নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী অনুসারীরা বাজারের লোকজনকে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে।

“এক পর্যায়ে তারা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের বাড়িতে এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান নুরুল আলম।”

দুইজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছে বলে জানান মহিউদ্দিন।

হাতিয়া থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সংঘাত সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে আটক করা হয়েছে।

উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ জানান, গত ৩০ মার্চ আফাজিয়া বাজারে তার ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের জন্যে ডিলারের গুদাম ঘেরাও করে স্থানীয়রা।

“এ সময় মোহাম্মদ আলীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত রবীন্দ্র চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাজারের এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আশ্রাফ উদ্দিনসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।”

এ ঘটনায় আশ্রাফের ভাই হাতিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাইফ উদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীসহ ৮৭ জনের নামে মামলা করেন বলেও জানান তিনি।