বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ আদেশ দেন।
এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক বছর করে সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার ভাই মো. মহির উদ্দিন ধাবক (৪৫), মো. জহির উদ্দিন ধাবক (৪১), মো. কহির উদ্দিন ধাবক (৩৫) ও মো. দবির উদ্দিন ধাবক (৩০) আদালতে ছিলেন।
দণ্ডপ্রপ্ত অপর ভাই মো. কবির উদ্দিন ধাবক (৩৩) পলাতক। তারা যশোরের কেশবপুর উপজেলার কিসমত শানতলা গ্রামের জয়নাল ধাবকের ছেলে।
পিপি মো. এনামুল হক বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী শওকত গাজীর জমির বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ ভাই শওকতের ছেলে রায়হানকে (১৬) মারধর করে গাছের সঙ্গে বেধে রাখেন।
তখন প্রতিবেশী বোরহান উদ্দিন গাজী ওরফে মারুফ (১৮) রায়হানকে উদ্ধার করতে যান। আসামিরা মারুফকেও মারধর করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মারুফের চাচাত ভাই রজব আলী সাতজনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় হত্যামামলা করেন। ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পিপি এনামুল বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক এম এ রব হাওলাদার পাঁচ ভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
মারুফ কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।