বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার কাশিমপুর ও সিলেটের কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর রাতেই তাদের মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও গোপালগঞ্জে দাফন করা হয়।
খবর পাঠিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিরা।
হান্নানের দাফন গোপালগঞ্জে
ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের পর জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামির শীর্ষনেতা আবদুল হান্নান ওরফে মুফতি হান্নানের লাশ গোপালগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে।
ফাঁসি কার্যকরের পর বুধবার রাতেই লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামে নিয়ে আসে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৫টায় হান্নানের বড় ভাই মওলানা আলিউজ্জামান মুন্সী লাশ গ্রহণ করেন।
বাড়ির পাশে হিরণ বালিকা মাদ্রাসার মাঠে জানাজায় ইমামতি করেন ভাই আলিউজ্জামান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
ওসি কামরুল জানান, জানাজায় হান্নানের পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের মধ্যে ৩১ জন অংশ নেন। লাশ দাফনের পর কোটালীপাড়া উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লাশ নিয়েছে বিপুলের পরিবার
মুফতি হান্নানের সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের লাশ চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মৈশাদী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বিপুলের বাবা হেমায়েত হোসেন পাটওয়ারী এর আগে লাশ না নেওয়ার কথা জানালেও লাশ গ্রহণ করেছেন।
মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় লাশ বাড়িতে পৌঁছার পরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় স্বজনসহ স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উদয়ন দেওয়ান, সদর মডেল থানার ওসি ওয়ালী উল্যাহ অলি উপস্থিত ছিলেন।
বিপুলের বাবা হেমায়েত জানান, বিপুল সিলেটের এমসি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। বিপুলের স্ত্রী ও ৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
রিপনের দাফন মৌলভীবাজারে
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের পর জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামির সদস্য দেলোয়ার হোসেন রিপনের লাশ মৌলভীবাজারে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ওসি শামসুদোহা জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের ঈদগাঁহ মাঠে জানাজা হয়।
জানাজার পর প্রশাসনে উদ্যোগে ঈদগাঁ মাঠের পাশেই খোঁড়া কবরে লাশ দাফন করা হয়।