বুধবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এম এম জকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
শনিবার বিকালে পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী তার ফুফাত ভাইকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে গেলে শহীদ মিনার এলাকায় তাদের উত্ত্যক্ত ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ওই মেয়ের মা সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদুল হক রুদ্র, সাজ্জাদ রিয়াদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বিচারক মোহিতুল হক মামলা গ্রহণ করে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওইদিন ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিকের উপর হামলারও অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নাবিউল আলম দিপু ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাসকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন শাহজাদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যে কমিটি গঠন করেছি। তাদের তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে কমিটি স্থায়ী বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
কমিটির দুই সদস্য হচ্ছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর মণ্ডল এবং প্রচার সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাবুল।
কমিটির সদস্যরা শিগগির ক্যম্পাসে গিয়ে তদন্ত শুরু করবেন। ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম তাদের সহযোগিতা করবেন জানান এ ছাত্রলীগ নেতা।