মঙ্গলবার দুপুরে সার্কিট হাউজ থেকে মন্ত্রীর গাড়ি বহরটি পীরগঞ্জ উপজেলায় রওনা হলে শহরের চৌরাস্তায় নাগরিক সমাজের ব্যানারে তার পথরোধ করা হয়।
এ সময় মন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে আশ্বস্ত করলে পথ থেকে সরে যান বিক্ষুব্ধরা।
পথরোধে একাত্মতা প্রকাশ করেন ঠাকুরগাঁওয়ের জনপ্রতিনিধি, লেখক, শিক্ষক ও সংবাদকর্মীরা।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে এক বছরের মধ্যে তা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন।
কিন্তু সকালে সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমান বন্দর পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব নয়।
এরই প্রতিবাদে আন্দোলন ও পথরোধ করে নাগরিক সমাজ।
ওই সভায় রাশেদ খান মেনন বলেন, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালু করতে যে আর্থিক বরাদ্দ প্রয়োজন সেটার জন্য জিওবিতে যেতে হবে। সিভিল এভিয়েশন এককভাবে এটা করতে পারবে না।
“আপনাদের কথা দিয়েছিলাম ঠাকুরগাঁওয়ে আমি যেদিন আসব বিমানে করে আসব। কিন্তু আমি সেকথা রাখতে পারিনি এজন্য লজ্জিত।”
প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরগাঁও সফরে দাবিটি তার কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে এসে বিমানবন্দরটি চালুর জন্য একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে যান, যাতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ বিমানবন্দরটি চালু করতে পারি।”
স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের বিমান চলাচল ছিল। সে সময় ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে নিয়মিত বিমান সার্ভিসও চালু ছিল। ১৯৮০ সালে লোকসানের অজুহাতে এ বিমান বন্দরটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।