মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোণার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সুরজামাল মিয়া (৩০) উপজেলার ছোট শালজান গ্রামের মৃত লাহুত মিয়ার ছেলে।
একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিপি গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, কলমাকান্দা উপজেলার বাঘারপাড় গ্রামের মাছ বিক্রেতা ভজন চন্দ্র দাসের সঙ্গে পাশের ছোটসালজান গ্রামের চা বিক্রেতা সুরজামালের বন্ধুত্ব হয়। এরই সূত্র ধরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কলমাকান্দাবাজারের রিকশা চালক মিলন মিয়ার রিকশায় করে দুই বন্ধু দুর্গাপূজাদেখতেবের হন।এরপর ভজন আর বাড়ি ফিরেননি।
“পরদিন সুরজামালকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,‘ভজন গভীর রাতে বাড়ি চলে গেছে’। এ ঘটনার দুই দিন পরভজনের বাবা সুনীল চন্দ্র দাসকলমাকান্দায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।”
চারদিন পর ২৬ অক্টোবর দুপুরে কলমাকান্দা পশ্চিম বাজার এলাকায়সতীশ মল্লিকের অটো রাইস মিলের পাশে বস্তাবন্দি ভজনেরমাথা বিচ্ছিন্ন দেহ ও তার কিছু দূরে মাথা পায় পুলিশ।
ওই দিনই রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে মো. সুরজামাল মিয়াকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বলে জানান পিপি।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।