পাহাড়ে শুরু হলো বৈসাবি

খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈসাবি উদ্বোধন করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিনুরুল আজম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2017, 09:59 AM
Updated : 11 April 2017, 10:13 AM

পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

তিনি বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে।

সবাইকে শান্তিপূর্ণ উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাহাড়ি সকল সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব এই বৈসাবি। এটা এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

“আমি আশা করি, পাহাড়ি-বাঙালি ভেদাভেদ ভুলে সকল সম্প্রদায় ঐক্যের বন্ধনে উৎসব পালন করবে।”

উদ্বোধন শেষে চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা-সাঁওতালসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোখাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আয়োজন করা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়াটার ফেস্টিভল বা পানি উৎসব ও গড়িয়া নৃত্যসহ মনোজ্ঞ ডিসপ্লে ও সাপখেলার।

বৈসাবির প্রধান অনুষ্ঠান চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো হবে বুধবার সকালে। চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা হবে বৃহস্পতিবার। ওই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন, নদী, খাল অথবা ঝর্ণায় হবে গঙ্গাদেবীর পূজা-অর্চনা। ১৪ এপ্রিল হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই, পানি উৎসব ও বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা।

১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব হয়ে আসছে।

ত্রিপুরা ভাষায় ‘বৈসু’, মারমা ভাষায় ‘সাংগ্রাই’ ও চাকমা ভাষায় ‘বিঝু’ নামে এ উৎসব হয়ে থাকে। তিন ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’।

পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মতিউর রহমান, ডিজিএফআই খাগড়াছড়ির অধিনায়ক মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যরা, অন্যান্য সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।