শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মোফাখখারুল ইসলাম এই কলেজে যোগ দেওয়ার পর থেকে গত তিন বছরে ক্রিকেট ও ফুটবলসহ সব ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড - এমনকি নবীন বরণ অনুষ্ঠানেও সব শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহনের সুযোগ দেন না এই অধ্যক্ষ।
বৈশাখেও সীমিতসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ায় সোমবার অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা। তার কার্যালয় ভাংচুরের পাশাপাশি তাকে সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায়, রাতে জেলা সার্কিট হাউজে রাখে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের জানালা ভেঙে দেয়।
“নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বাড়ি পঞ্চগড়। তিনি কলেজের ডরমিটরিতে থাকতেন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে সার্কিট হাউজে রাখা হয়েছে।”
অধ্যক্ষ মোফাখখারুল বলছেন, শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার দাবি করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ফান্ড না থাকায় প্রত্যেক বিভাগ থেকে ২০ জন করে শিক্ষার্থী নিয়ে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে অধ্যক্ষ কোনো কথা বলেননি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা বলেন, এইচএসসি থেকে এমএ পর্যন্ত এ কলেজে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। তারা সবাই কলেজের কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় না।
“বৈশাখী উৎসবে পান্তা-ইলিশ ও শোভাযাত্রাসহ সব অনুষ্ঠানে প্রতি বিভাগ থেকে মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণের অনুমোদন দিয়েছেন এই অধ্যক্ষ। এ কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষেপেছে।”
এদিকে ভাংচুরের অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ অজ্ঞাতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক মোমিনুল হক।
তিনি বলেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণ উপায় খূঁজে বের করার চেষ্টা করছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অধ্যক্ষকে আপাতত পুলিশ পাহারায় সার্কিট হাউজে থাকতে বলা হয়েছে।