রাউধার মৃত্যু: কাশ্মিরি সহপাঠীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রাজশাহীতে মেডিকেল ছাত্রী মালদ্বীপের মডেল রাউধা আতিফের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা চিকিৎসক মোহাম্মদ আতিফ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2017, 08:14 AM
Updated : 10 April 2017, 01:51 PM
আতিফের আইনজীবী কামরুল মনির জানান, সোমবার রাজশাহীর মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে দায়ের করা এ মামলায় রাউধার সহপাঠী সিরাত পারভীন মাহামুদকে আসামি করা হয়েছে।

সিরাত ভারতের কাশ্মিরের মেয়ে।

গত ২৯ মার্চ রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে রাউধাকে মৃত পাওয়া যায়। রাউধা ও মামলার আসামি সিরাত উভয়ই ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

আইনজীবী মনির বলেন, আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য শাহ মখদুম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

“মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে সিরাত ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে রাউধাকে ঘুমের বড়ি খাওয়ান। ওই দিন রাউধা বিষয়টি তার মাকে জানান। এছাড়া কাউকে না জানিয়ে সিরাত একাই রাউধার কক্ষে গিয়ে লাশ নামানোর কথা সবাইকে জানিয়েছেন। এসব কারণে রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সন্দেহ।”

আদালত চত্বরে রাউধার বাবা চিকিৎসক মোহাম্মদ আতিফ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ফরেন্সিক বিভাগেরও পড়া শোনা করেছেন।

“সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়েছে রাউধার গলায় যে দাগ রয়েছে তা ওড়না পোঁচানোর দাগ নয়, সেটা দড়ির দাগ। আমার মেয়ে রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।”

 

২০১৬ সালের অক্টোবরে ভারতের ‘ভোগ’ সাময়িকীর নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সংখ্যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য উদযাপন’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে স্থান পান মালদ্বীপের মডেল ‘নীল নয়না’ রাউধা।

তার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে রাজশাহী আসেন মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা, মোহাম্মদ রিয়াজ ও আহমদ আলী। তারা রাউধার পরিবার, সহপাঠী, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহীর পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।

লাশ উদ্ধারের পরের দিন থেকে রাউধার পরিবারের সদস্যরা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন।

রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ করে আসছে তার পরিবার। এ কারণে লাশ রাজশাহীতেই দাফন করা হয়।