হাওরের ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণ মওকুফের সুপারিশ হবে: প্রতিমন্ত্রী

হাওরে যেসব কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে তাদের ঋণ মওকুফে সরকারকে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2017, 09:54 AM
Updated : 9 April 2017, 11:19 AM

রোববার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে, যাতে প্রান্তিক, গরীব, ক্ষুদ্র কৃষকরা সুবিধা পেতে পারে।

“পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণের গাফিলাতির বিষয়ে এখানকার সাধারণ মানুষের জনমত অত্যন্ত প্রবল। আমি গাফিলতির বিষয়টি তলিয়ে দেখার এবং এজন্য কারা দায়ী তা নির্ধারণে একটি বড় কমিটি করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করব।”

এছাড়া স্থানীয়ভাবে ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করতে প্রশাসনও একটি কমিটি করবে বলে জানান তিনি।

“সরকারের কম মূল্যের চাল বিক্রি, ভিজিএফসহ চলমান কিছু প্রকল্প আছে, যেগুলো বাড়ানো হয়েছে। সুনামগঞ্জের জন্য এগুলো পরিমাণে ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য আমি ত্রাণ ও খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।”

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে দুর্গত ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দুর্গত এলাকার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে লঙ্গরখানা খোলার প্রস্তাব আসবে, লঙ্গরখানা এমন একটি শব্দ, বর্তমান বাংলাদেশে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। সেই ধরনের দুভিক্ষের অবস্থায় আমরা নেই।

“খাদ্যের অভাব আছে, যেভাবেই হোক তা মেটানোই হবে আমাদের প্রধান কাজ।”

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জয়া সেনগুপ্তা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অসময়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বোরো ধান তলিয়ে গেছে।