সিরাজগঞ্জ কারাগারে ৩৪ জেএমবি

সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে ৩৪ জন জেএমবি হাজতি থাকায় বাড়তি সতর্কতা নিতে হয় বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইসরাইল হোসেন বাবু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2017, 03:52 AM
Updated : 9 April 2017, 03:54 AM

কারাগারের সুপার আল মামুন জানান, বর্তমানে এই কারাগারে ৩৪ জন জেএমবি সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন এবং নারী আট জন। নারীদের সঙ্গে তিন জন শিশুও রয়েছে।

“বেশি জেএমবি সদস্য এ কারাগারে থাকায় কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে,” বলেন মামুন।

সম্প্রতি সিলেট ও মৌলভীবাজারে জেএমবি আস্তানায় অভিযান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ হতাহতের ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নাশকতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনী বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে।

আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখার জন্য সম্প্রতি কারাগারের ভিতর ও বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশে ব্যবহার হচ্ছে মেটাল ডিটেক্টর।

“কারা ফটকে ও ভিতরে দায়িত্বরত পাঁচ জন কারারক্ষী বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ব্যবহার করছে। পাঁচটি ওয়াকিটকি দিয়ে ভিতরে ও বাইরে চলছে মনিটরিং। পাশাপাশি চলছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি।”

তিনি আরও জানান, আদালতে আনা-নেওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানের আগে ও পরে বিশেষ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আর ১৫ দিন পর পর জেএমবি সদস্যরা যখন পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন জেলা গোয়েন্দা শাখা প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে র‌্যাব ও পুলিশ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়ে এসব জেএমবি সদস্য কারাগারে আসেন। এছাড়া অন্য জেলায় গ্রেপ্তার হওয়াদের সিরাজগঞ্জ আদালতে আনা হলে কারাগারে জেএমবি সদস্যের সংখ্যা আরও বেড়ে যায় বলেন কারা সুপার। 

গত ২৯ মার্চ ভোরে মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের এক প্রবাসীর বাড়িতে নব্য জেএমবির আস্তানা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরদিন সোয়াট ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের পর সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ, যাদের মধ্যে চারটি শিশুও ছিল।

এর আগে ২৩ মার্চ রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল ঘিরে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২৫ মার্চ সকাল থেকে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোদের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরু হয়। ওইদিন রাতে আতিয়া মহলের অদূরে দুটি বোমা বিস্ফোরণে র‍্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজন নিহত এবং অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। ২৮ মার্চ ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষ হয়। এতে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে।

তারও আগে গত ৭ মার্চ কুমিল্লায় দুই জঙ্গিকে আটক করার পর তাদের একজনকে নিয়ে ওই রাতেই চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২৯টি হাতবোমা, নয়টি চাপাতি, ২৮০ প্যাকেট বিয়ারিংয়ের বল এবং ৪০টি বিস্ফোরক জেল।