শনিবার বেলা ১টা ৫৪ মিনিটে দিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেন।
ওই সময় সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বেনাপোল রেলস্টেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
উপস্থিত অন্যরা হলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, রেল মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, স্থানীয় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন, সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্য, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চলীয় জিএম খায়রুল আলম প্রমুখ।
“খুলনা থেকে ৫টি বগি নিয়ে পরীক্ষামূলক এ যাত্রায় কোনো সাধারণ যাত্রী ছিল না। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ জন ব্যক্তি এ ট্রেনের যাত্রী হন, যার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান যন্ত্রকৌশল প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন।”
খুলনা ও কলকাতার মধ্যে নিয়মিত ট্রেন যোগাযোগ চালু ভারত ও বাংলাদেশের ‘কানেক্টিভিটিতে’ নিঃসন্দেহে বড় একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তরকারী একটি সিদ্ধান্তের ফলে ৪৩ বছর পর আবার চালু হলো কলকাতা-খুলনার মধ্যে ট্রেনের এই সেবা।
বাসের চেয়ে ট্রেনের যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক এবং সময় সাশ্রয়ী বলে বাসের চেয়ে খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস অনেক বেশি জনপ্রিয় হবে বলে মনে করেন এই মন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক এই ট্রেন যাত্রায় সীমান্তে কাস্টমস-ইমিগ্রেশনের ঝামেলাটা কমানোর বিষয়টি বিবচনা করার আহ্বান জানান তিনি।
“এসব কড়াকড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে গেলে মানুষ অবশ্যই বিরক্ত হবেন। ট্রেনের ভেতরেই মোবাইল কাস্টমস চেকিং সেরে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে ঝামেলা ও সময় দুটোই বাঁচবে।”
ঢাকা-কলকাতা রুটে আগে থেকেই চালু রয়েছে আরেকটি ট্রেন ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’, যা সপ্তাহে চারদিন চলাচল করে।
এ ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে যায় শুক্রবার, শনিবার, সোমবার ও বুধবার এবং কলকাতা থেকে আসে শুক্রবার, শনিবার, রোববার ও মঙ্গলবার।