শুক্রবার ভোলায় জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বাষির্ক সম্মেলনে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
“শেখ হাসিনার সরকার অনেক উন্নয়নের কাজ করেছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন থাকলেও উন্নয়নের রাজনীতিতে আমরা আওয়ামী লীগের সাথে একমত। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই- বাংলাদেশের উন্নয়ন করা, জনগণের উন্নয়ন করা, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করা।”
সেজন্য আগামীতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এরশাদ।
সারা বাংলায় শেখ হাসিনার সরকার ‘উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছে’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ভোলার বাংলা স্কুল মাঠে এ জনসভায় জাপা চেয়ারম্যান দলকে শক্তিশালী করার জন্যে ইসলামিক দলগুলোসহ ৩০টি দল নিয়ে মহাজোট করতে যাচ্ছেন বলেও জানান।
“তবে এর অর্থ এ নয় যে আমরা এ সরকারের বিরুদ্ধে।”
আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী দল উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, “আমরাও একসময় ছিলাম, আবারও জাতীয় পার্টিকে দেশের অন্যতম দল হিসেবে শক্তিশালী করব। মৃত্যুর আগে যেন আমি দেখে যেতে পারি এই দেশে আবার জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এসেছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এরশাদ ভোলার উন্নয়ন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বিপুল প্রশংসা করেন।
“১৯৮৩ সনে ভোলায় এসেছি। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ভোলায় এসে আমি হতবাক হয়ে গেছি। দ্বীপ জেলা ভোলায় উন্নয়নের যে জোয়ার আমি শুরু করেছিলাম, আজ তোফায়েল আহমেদের ঐশ্বরিক জাদুতে তার পূর্ণতা পেয়েছে।”
“এই নেতার কাছ থেকে আমাদের এখনও অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি হলেন ভোলার অভিভাবক। তার সহযোগিতা ও আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ হয়েছি।”
জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কেফায়েত উল্লাহ নজীবের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন দলের এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাংসদ সাইদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনিল শুভ রায়, যুব বিষয়ক উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, যুগ্ম মহসচিব নুরুল ইসলাম ওমর, ভোলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু প্রমুখ।
ভোলা জেলা জাতীয় পার্টির কমিটিতে যোগ্য প্রার্থীদের নাম কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হবে বলে সম্মেলনে এরশাদ ঘোষণা দেন।