এদিকে ‘ইয়াবাসহ’ আটকের এ ঘটনাকে ‘পুলিশের বাণিজ্য’ বলে দাবি করেছেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ।
শ্রীপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে পুলিশ আওয়ামী লীগনেতা মো. মাহতাব উদ্দিনকে আটক করলে তার লোকজন সড়ক অবরোধ করে।
“সকাল ৫টার দিকে থেকে এলাকাবাসী লাঠিসোটা নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়, টায়ারে আগুন দেয় এবং অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।”
পুলিশ ৭টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আমির হোসেন বলছেন, “মাহতাব এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও রয়েছে। তাকে রাতে ২০০ ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মাহতাব উদ্দিন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য পদে তার নাম রয়েছে।
“মাহতাব মাদক বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। কেউ প্রমাণ দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
‘এটা পুলিশের একটা বাণিজ্য’ বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এর আগে জানুয়ারি মাসে আবুল কালামের মুড়ির কারখানায় সার মেশানোর অভিযোগ এনে গোয়েন্দা পুলিশ ঘুষ দাবি করেছিল। ঘুষের টাকা না দেওয়ায় কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তখন চার পুলিশকে প্রত্যাহারও করা হয়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মাহতাব মাদক বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নন। তিনি একজন নিরীহ মানুষ। মাওনা এলাকায় সবচেয়ে পুরনো ক্যাসেট-সিডি বিক্রেতা।”
শ্রীপুর উপজেলা তাঁতিলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলা গেয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চারটি গাড়ি নিয়ে এসে মাহতাব উদ্দিনকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তারা কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখাতে পারেনি।”
এদিকে মহাসড়কে আগুন ও অবরোধের অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়কে আগুন ও অবরোধ সৃষ্টি করায় শ্রীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগকর্মী আব্দুল লতিফ ও আইয়ুব হোসেন ভুঁইয়াসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।