বুধবার বড়ইয়া ইউনিয়নের কলাপোকা গ্রামের বিশখালী নদীতে ভাসমান পাঁচ আঙুলসহ হাতের কিছু অংশ এবং বুকের একটি অংশ পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এগুলো সীমা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর বলে তার স্বজনরা দাবি করছেন।
সীমা পিরোজপুর জেলার খামকাটা গ্রামের প্রয়াত আমজেদ হোসেনের মেয়ে এবং ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাউথপুর গ্রামের মিজান খন্দকারের (৩৪) স্ত্রী।
সীমা নিখোঁজের পর তার ভাই মাজেদুল ইসলাম স্বামী মিজান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মাজেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মিজান সৌদি আরব থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। এরপর সীমাকে আমাদের বাড়ি পিরোজপুর থেকে ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বামীর নিয়ে আসেন মিজান।
“গত ৩০ মার্চ রাতে সীমাকে রাজাপুর উপজেলার সাউথপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সীমা নিখোঁজ ছিল।”
তিনি জানান, এ ঘটনায় গত ২ এপ্রিল তিনি রাজাপুর থানায় সীমার স্বামী মিজান খন্দকার, দেবর সবুজ খন্দকার, ননদ শাহনাজ বেগম ও ননদের স্বামী মিজান হাওলাদারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওই মামলায় বর্তমানে সীমার স্বামী মিজান পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) আছেন বলে মাজেদুল জানান।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লাশের এ টুকরো দুটি নারীর, তা নিশ্চিত। প্রাথমমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা সীমার লাশের অংশ।
“তবে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হবে।”