বুধবার বিকালে গোবিন্দগঞ্জের চৌকি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এএসএম তাসকিনুল হক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাসুদুর রহমান জানান, ২০১৬ সালে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় জঙ্গি রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩০ মার্চ পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়া হয়।
“বুধবার বিকালে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।”
ওসি মাসুদুর বলেন, ২০১৬ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ব্যবসায়ী তরুণ দত্ত, মহিমাগঞ্জ বাজারের জুতা ব্যবসায়ী দেবেশ চন্দ্র প্রামানিকসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
এর আগে রাজীব গান্ধী ২০১৫ সালের ২ জুন গাইবান্ধার পল্লী চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান ডিপটিকে গুলি করে হত্যা এবং একই বছরের ১৯ জুলাই সাঘাটা উপজেলার বসন্তেরপাড়া গ্রামে ফজলে রাব্বী নামে এক জেএমবি সদস্যকে (পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা) গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান ক্যাফেতে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন রাজীব গান্ধী। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম রাঘবপুর ভূতমারা গ্রামের মাওলানা ওসমান গণি মন্ডলের ছেলে তিনি।
গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ যাদের চিহ্নিত করেছিল, তাদের একজন হলেন ‘রাজীব গান্ধী’, যিনি জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েছেন। গত ১৩ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশের চিহ্নিত তামিম চৌধুরী, জাহিদুল ইসলা, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন।
পুলিশের ভাষায়, উত্তরাঞ্চলে সব কটি জঙ্গি হামলায় নেতৃত্ব দাতা এই ‘রাজীব গান্ধী’। তার আসল নাম জাহাঙ্গীর আলম। ‘রাজীব গান্ধী’ ছাড়াও সুভাস, শান্ত, টাইগার, আদিল, জাহিদ এই রকম নানা ছদ্ম নাম নিয়ে চলতেন তিনি।