আতিয়া মহলে ২টি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল থেকে দুইটি অবিস্ফোরিত হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করেছে র‌্যাব।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2017, 01:48 PM
Updated : 4 April 2017, 05:04 PM

ভবনটিতে আরও বিস্ফোরক থাকার কথা উল্লেখ করে আতিয়া মহল এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে মঙ্গলবার র‌্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমদ জানান, দ্বিতীয় দিনের মতো র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ভবনটির বিস্ফোরক অপসারণের কাজ শুরু করে।

“সকালে ভবনের নিচতলা থেকে দুটি অবিস্ফোরিত হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া যায়। গ্রেনেড দুটি হাতে তৈরি করা হলেও বেশ শক্তিশালী ছিল। নিষ্ক্রিয় করার সময় স্প্লিন্টার অনেকদূর পর্যন্ত গিয়েছিল।”

তিনি বলেন, ভবনের নিচ তলায় দুটি কক্ষ থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভবনটির ২৮টি কক্ষে তল্লাশি চালানো হবে। ভবনের সব কক্ষে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য বিস্ফোরক। সব বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে আরও সময় লাগবে।

বুধবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু করবে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। দুর্ঘটনা এড়াতে তিনি এলাকাবাসীকে আরও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

এদিকে আতিয়া মহল থেকে উদ্ধার হওয়া দুই জঙ্গির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে বেওয়ারিশ হিসেবে সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

আতিয়া মহলে সেনাবাহিনীর অভিযান শেষ হওয়ার ছয় দিন পর সোমবার সেখান থেকে এই দুই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব।

এর আগে গত ২৭ মার্চ  সন্ধ্যায় আতিয়া মহল থেকে এক নারী ও এক পুরুষের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। পরদিন মঙ্গলবার তাদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

শনিবার বিকালে সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে তাদের বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।

গত ২৪ মার্চ জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহল নামের পাঁচ তলা ভবন ঘেরাও করে পুলিশ।

পরে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দলের চারদিনের ‘অপারেশন টোয়াইলাইটে’ নিহত হয় এক নারীসহ চার জঙ্গি।

গত ২৮ মার্চ বিকালে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ সমাপ্ত হয়। পরে পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ভবনটি।