মিরুর স্ত্রীর মামলায় শাহজাদপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসামি

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ চলাকালে মিরুর বাড়িতে হামলার ঘটনায় তার স্ত্রীর মামলায় শাহজাদপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাসির উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2017, 12:10 PM
Updated : 4 April 2017, 03:18 PM

মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মিরুর স্ত্রী লুৎফুন নেছা পিয়ারী।

মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী রফিক সরকার জানান।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকালে শাহজাদপুরের মেয়র হালিমুল হক মিরু গ্রুপ ও ছাত্রলীগের একাংশের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। পরদিন ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

আইনজীবী রফিক সরকার বলেন, শাহজাদপুর আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাসিবুল হক বাদীর এজাহার আমলে নিয়ে শাহজাদপুর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাসির উদ্দিন ও মাহবুবে ওয়াহিদ শেখ কাজল।

এজাহারের অপর আসামিরা হলেন,পৌর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম,শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবে ওয়াহিদ শেখ কাজল, যুবলীগ নেতা আশিকুল হক দিনার, ছাত্রলীগকর্মী মাসুদ, সোহেল, জাহান, জীবন, রাসেল, এরশাদ, তরিকুল, শাহ আলম, আল মাহমুদ, বিপ্লব, আল আমিন, রনি ও সেলিম।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আব্দুর আব্দুর রহিম পৌর নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিজয়ী মেয়র মিরুকে হত্যা চেষ্টাসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।

এরই জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকালে আব্দুর রহিম ও তার সমর্থকরা পিস্তল-ককটেল-রামদাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হালিমুল হক মিরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগে বলা হয়।

এ সময় তারা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মেয়রের বাড়িতে থাকা সাহেব আলী, জহির আলী, কালু ও মানিক নামে চার ব্যক্তি আহত হন বলে অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ আরও বলা হয়, হামলার সময় বাড়ির লোকজন আসামিদের বাধা দিলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন এবং পরদিন মারা যান।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকালে আওয়ামী লীগের মিরু গ্রুপ ও ছাত্রলীগের একাংশের সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। পরদিন ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মিরু ও তার ভাইসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেনশিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম। একই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদের চাচা এরশাদ আলী বাদী হয়ে মিরুসহ অন্যদের আসামি করে (এ মামলায়ও আসামিরা প্রায় একই) মামলা বরেন।

ইতিমধ্যে এ দুই মামলার প্রধান আসামি হালিমুল হক মিরু, তার দুই ভাই হাসিবুল হক মিন্টু, হাফিজুল হক পিন্টুসহ ১৫ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। পুলিশ মেয়রের লাইন্সেসকৃত শটগান ও একটি দেশে তৈরি পাইপগান উদ্ধার করেছে।