এছাড়া দণ্ডিত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে, যা অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাফরোল হাসান সাত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান জানান।
দণ্ডিতরা হলেন রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রাম পাঙ্গাসী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে শামীম (৩৫), সোরমান আলীর ছেলে রব্বানী (৩২), রহিজ প্রামানিকের ছেলে মিন্টু প্রমানিক (৩৩), মিরের দেউল গ্রামের হযরত আলীর ছেলে কালাম (৩২), বগুড়ার শেরপুরের হোসনেবাদের আব্দুল জলিলের ছেলে দুদু প্রামানিক (৩০) ও জিয়াউর রহমান (২৮), একই এলাকার বিশা সেখের ছেলে আব্দুস সামাদ সেখ (৩২), শেফাত আলী প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে শামীম পলাতক রয়েছেন।
পিপি আব্দুর রহমান বলেন, ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর রাতে রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রাম পাঙ্গাসী এলাকার মোহাম্মদ আলী মাহামের বাড়ি থেকে তার মেয়ের জামাই ইব্রাহিম খলিলকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন সকালে গ্রাম পাঙ্গাসী বাজারের আজাদ মজলিস ক্লাব এলাকা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর মোহাম্মদ আলী মাহাম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে প্রত্যেককে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহত ইব্রাহিম খলিল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে।