শনাক্ত আশরাফুল আলম নাজিম (২২) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার কুমারঘরিয়া গ্রামের সুলতান মাহমুদের ছেলে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, সকালে নাজিমের মা মনোয়ারা বেগম ও তার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোতাহার হোসেন এসে সদর হাসপাতালের মর্গে নাজিমের লাশ শনাক্ত করেন।
“নাজিমের মা ছেলের লাশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।”
নাজমার বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, “সর্বশেষ সাত-আট মাস আগে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নাজিম। নাজিম বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি একটি মাদ্রাসায় লেখা পড়া করছেন।”
গত ২৫ মার্চ সিলেটের আতিয়া মহলে সেনা কমান্ডোদের অভিযানের সময় আতিয়া মহলের বাইরে পুলিশ চেকপোস্টে নাজিম বোমা পেতেছিলেন বলে পুলিশ মনে করছে। ওই বোমার বিস্ফোরণে র্যাবের গোয়েন্দা প্রধানসহ সাতজন মারা যান।
নাজিম সেখান থেকে মৌলভীবাজারের বড়হাটের আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলির ডুপ্লেক্স বাড়িতে ওঠেন। এ বাড়িতে গত শনিবার চালানো হয় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। সেখানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নাজিমসহ তিনজন মারা যান।
নিহত অন্য দুইজনের লাশ এখনও শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার তত্ত্বাবধানে নাসিরপুরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত দুই জঙ্গি ও পাঁচ শিশুর লাশ দাফন করা হয়েছে। তাদের লাশও নেয়নি পরিবার।