তাকে আপাতত পুলিশ হেফাজতে রেখে পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার আহমেদ জানান, হালিমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন সোমবার রাতে এসআই মো. মিজানুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর মিজানুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনসে রাখা হয়েছে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এসএ নেওয়াজী জানান, মামলায় মিজানুলের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
“তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।”
গত রোববার গৌরীপুর থানা ব্যারাকের একটি পরিত্যক্ত ভবনে গায়ে কেরাসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন হালিমা। পরে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
গৌরীপুর থানার এক পুলিশ সদস্য জানান, হালিমার সঙ্গে এসআই মিজানুলের ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়। এর জেরেই হালিমা ‘গায়ে আগুন দেন’ বলে সহকর্মীদের ধারণা।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন।বুধবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে বলে নেওয়াজী জানান।