পুলিশ সুপার শাহজালাল জানান, সোমবার সকালে স্বজনরা এসে নিহত সাতজনকে ‘ছবি দেখে শনাক্ত’ করলেও তারা লাশ নেবেন না।
নাসিরপুরে একটি বাড়িতে সাম্প্রতিক অভিযানের পর পাঁচ শিশুসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এরপর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক দাবি করেন, নিহত সাতজন হলেন তার মেয়ে, জামাতা ও পাঁচ নাতনি।
সোমবার সকালে আবু বক্কর তার তিন স্বজনসহ মৌলভীবাজার আসেন।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, লাশ খণ্ডবিখণ্ড হওয়ায় তা দেখে চিনতে পারেননি স্বজনরা। তবে তারা নিহতদের ঘরে পাওয়া ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছে, নিহত সাতজন তাদেরই স্বজন।
আবু বক্করের সঙ্গে আসা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “লাশ দেখে চিনতে পারি নাই। তবে ছবি-টবি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে।”
লাশ দেখে চিনতে পারেননি তবে ছবি দেখে পেরেছেন জানিয়ে আবু বক্কর বলেন, “এরা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু এদের লাশ আমি নিব না।”
এদিকে বড়হাট ও নাসিরপুর উভয় এলাকায় ১৪৪ ধারার আওতা কমিয়ে ৩০০ গজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখনও বাড়ির ভেতরে ও আশপাশে রয়েছে কড়া সতর্কতা।
খুব জরুরি কাজ ছাড়া এসব এলাকা থেকে কাউকে বাড়ির বের হতে দেখা যায়নি।
সকাল ৯টার দিকে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে স্কুল-কলেজে যেতে দেখা গেছে। খুলেছে অল্পকিছু দোকানপাট। দুই এলাকার মানুষের মধ্যেই বেশ উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।