‘আতিয়া মহলে’ র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ সেনাবাহিনীর অভিযান শেষ হওয়ার ছয় দিন পর সেখানে থাকা বিস্ফোরক অকার্যকর করতে ঢাকা থেকে আসা র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ শুরু করেছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2017, 08:00 AM
Updated : 3 April 2017, 09:35 AM

সোমবার বেলা ১টার দিকে ঢাকা থেকে আসা র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আতিয়া মহলে প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব ৯ এর  সহকারী পরিচালক জে এম ইমরান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলে, র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সঙ্গে ডগ স্কোয়াডও রয়েছে। তারা ভেতরে ঢুকে কাজ শুরু করেছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করার এই অভিযানের বিষয়ে বিকাল সাড়ে ৫টায় সংবাদ ব্রিফিং করা হবে।

র‌্যাব ৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এই অভিযানের সার্বিক নেতৃত্বে রয়েছেন বলে জানান ইমরান।

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার পাঁচতলা ওই বাড়িটিতে চার দিনের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’র আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করে বাড়িটির স্থানে স্থানে বিস্ফোরক রয়ে গেছে বলে জানান সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।

জালালাবাদ সেনানিবাসে এই সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই বাড়িটি পুলিশকে বুঝিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। তখনও ভেতরে ছিল দুটি লাশ। নিহত অন্য দুজনের লাশ আগের দিনই পুলিশকে দেওয়া হয়।

তার আগের দিন বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি ভেতরে চার জঙ্গির মারা পড়ার তথ্য জানিয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার ফখরুল। নিহত এক নারী ও তিন পুরুষের কারও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে তাদের মধ্যে একজনকে রাজশাহীর বাগমারার বজ্রকোলা গ্রামের মাইনুল ইসলাম ওরফে মুসা বলে ধারণা করা হচ্ছে, যিনি তামিম চৌধুরীসহ শীর্ষনেতারা মারা যাওয়ার পর ‘নব্য জেএমবি’র হাল ধরেন বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।

আর তাই মুসার মাসহ পরিবারের তিন সদস্যের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।