রোববার মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার এসআই শহিদুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন ওসি অকিল উদ্দিন।
সন্ত্রাস দমন আইনের ওই মামলায় অজ্ঞাত জঙ্গিদের আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নাসিরনগরের এক প্রবাসীর বাড়িতে নব্য জেএমবির সদস্যরা আস্তানা গেঁড়েছে খবর পেয়ে পুলিশ গত ২৯ মার্চ ভোরে এলাকা ঘিরে ফেলে। পরদিন সোয়াট ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সেখানে অভিযান চালায়। অভিযান শেষে পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, পালানোর পথ না পেয়ে আত্মঘাতী হন ওই বাড়ির বাসিন্দারা।
এদিকে রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার বড়হাট জঙ্গি আস্তানা থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এক সপ্তাহ আগের আরেক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সূত্র ধরেই মৌলভীবাজারের এই দুটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায় বলে পুলিশের ভাষ্য।
জেলা পুলিশের সহায়তায় সোয়াট ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও করেছিল গত বুধবার ভোরে। শুক্রবার সকালে বড়হাটের আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলির ডুপ্লেক্স বাড়িটিতে চূড়ান্ত অভিযান ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শুরু হয়।
সিলেট-মৌলভীবাজার সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে এই বাড়িতে অভিযান শুরুর পর থেকে গুলি-বিস্ফোরণের শব্দ আসতে থাকে।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রায় ৮০ ঘণ্টার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় তিনজনের লাশ পাওয়ার কথা জানান।