রাউধার লাশ দাফন হলো রাজশাহীতেই

মালদ্বীপের মডেল কন্যা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আথিফের লাশ রাজশাহীতেই দাফন করা হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2017, 09:11 AM
Updated : 1 April 2017, 12:40 PM

শনিবার সকালে মালদ্বীপে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ কী কারণে রাজশাহীতেই দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার তা তারা জানায়নি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতে খায়ের আলম জানান, রাউধার পরিবারের অনুরোধে শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের হেতেমখাঁ কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

“লাশ নিজ দেশে নিলেন না কেন সে ব্যাপারে তারা কিছু জানাননি। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।”

গত বুধবার দুপুরে রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলে তার রুমে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় সহপাঠীরা।

রাউধা ইসলামী ব্যাংক মেডিকলে কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছরের ২২ অক্টোবর ভারতের ভোগ-এর প্রচ্ছদে অন্য মডেল তারকাদের সঙ্গে নীল নয়না রাউধার ছবি ছাপা হয়। রাউধার বাড়ি মালদ্বীপের মালেতে।

পুলিশ কর্মকর্তা খায়ের বলেন, শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হিমাগার থেকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

“শনিবার সকালে তাদের মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে তার বাবা মোহাম্মাদ আথিফ জানান তাদের পরিবারের সদস্যরা রাউধাকে রাজশাহীতেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়।”

 

পুলিশের সহযোগিতায় রাউধার পরিবারের সদস্যরা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লাশ দাফন করেন।

এ সময় রাউধার বাবা, মা, ভাই ও বোনসহ পরিবারের ১১ সদস্য এবং রাজশাহীর সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাউধার লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক মুনসুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ময়নাতদন্ত করেন।

ওই দলের সদস্য সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “রাউধার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। এতেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

বিষক্রিয়া ছিল কি না তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”