জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহেদুল হক জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই ঝুঁকিতে পড়েছে হাওরের বোরোক্ষেত। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। অবস্থার পরিবর্তন না হলে সব হাওরের ফসল তলিয়ে যেতে পারে।
কদিনের ভারী বর্ষণে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির বোরোক্ষেত তলিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ২০-২৫ দিন পরে ফসল কাটার উপযুক্ত হবে। এ মুহূর্তে তলিয়ে গেলে ক্ষতিমুক্তির কোনো উপায় নেই।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান জানান, উপজেলার বোরোভাণ্ডার খ্যাত শনি ও মাটিয়ান হাওরের বাঁধে পানি ছুঁইছুঁই করছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে পারে। হাওরপাড়ের কৃষকরা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসর উদ্দিনও একই কথা বলেন।
“পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে জেলার বৃহৎ চারটিসহ অনেক হাওর ঝুঁকিতে আছে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে ফসল রক্ষা করা কঠিন হবে।”