মাধবদীর কোতোয়ালিরচর দড়িকান্দি এলাকার আনোয়ারে হোসেন নামে এক ব্যক্তি বুধবার বিকালে নরসিংদীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মনীষা রায়ের আদালতে ওসি মো ইলিয়াসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম।
আদালত অভিযোগ আমালে নিয়ে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্য বিবাদীরা হলেন স্থানীয় তিথি গ্রুপের চেয়ারম্যান চন্দন কুমার সাহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোটু সাহা, মাধবদী পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গৌতম ঘোষ, ঠিকাদার দুলাল মিয়া ও অজ্ঞাত আরও ৪০ জন ।
আর্জিতে বলা হয়েছে, আনোয়ার হোসেন পেশায় রিকশা চালক। দারিদ্র্য ও জনবলহীনতার সুযোগ নিয়ে প্রভাবশালী লোটু সাহা ও চন্দন কুমার সাহা তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আসছিল। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন প্রথমে মাধবদী পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
“পরে তিনি বাদী হয়ে নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করলে আদালত ওই জমিতে ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাধবদী থানার ওসিকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।”
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওসি ও কাউন্সিলর তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় লোটু সাহা ও চন্দন কুমার সাহার কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জমি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দেন ওসি।
ওই দিনই ওসির উপস্থিতিতে লোটুসাহা, চন্দন কুমার সাহা, গৌতম ও দুলাল তাকে মেরে আহত করেন এবং তাদের সঙ্গে আসা অজ্ঞাত ৪০ জন জমির দেয়াল ভেঙে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি করে বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে ওসি ইলিয়াছ বলেন, “আমি শুনেছি কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি বাদী আনোয়ারকে চিনি না।”
“এই মামলার পেছনে বিশেষ কোনো শ্রেণি বা গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে।”